Model Activity Task 2021 Class 8 Bengali Part 7 October || মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 8 বাংলা পার্ট 7 অক্টোবর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ...তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।– কার প্রতি কবির এই আহ্বান ? কার পাশে, কীভাবে এসে দাঁড়াতে হবে বলে কবি জানিয়েছেন?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত 'দাঁড়াও' কবিতা থেকে গৃহীত।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রতিটি বিবেকবান মানুষের প্রতি এই আহ্বান করেছেন। তিনি প্রতিটি বিবেকবান পাশে মানুষকে অগণিত নিপীড়িত,শােষিত, অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
কবি দেখেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু স্বার্থপর,মনুষ্যত্বহীন মানুষের লােভ, মানসিক বিকৃতি, শাসন ও শােষণের শিকার অসংখ্য গরিব মানুষ। তারা দিন-যাপনের গ্লানি নিয়ে কোনােরকমে দুঃখে-কষ্টে উদ্দেশ্যহীনের মতাে বেঁচে আছে। এই অসহায় মানুষেরা একটু ভালােবাসা,সহানুভূতি পাওয়ার জন্য আকুল। তাই কবি সমাজের নিপীড়িত,শােষিত,অত্যাচারিত,দুঃখী মানুষের পাশে প্রত্যেকটি হৃদয়বান মানুষকে অসীম ভালােবাসা,মমতা নিয়ে দাঁড়াতে অনুরােধ করেছেন। যাতে ওই অত্যাচারিত, অভাবী মানুষগুলি
জীবনের অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতেও বেঁচে থাকার ভরসাটুকু পায়।
১.২ ‘রমেশ কহিল, তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ। কাকে রমেশ একথা বলেছে? তার একথা বলার কারণ কী?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে গৃহীত। রমেশ প্রশ্নোদ্ধৃত কথাগুলি রমাকে বলেছে।
কথাগুলি বলার কারণ:- গ্রামের সমস্ত চাষির ফসল যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য রমেশ দক্ষিণের বাঁধ কেটে জল বের করে দেওয়ার জন্য বেনী ঘােষালকে অনুরােধ করেছিল। কিন্তু তাতে ফল হয়নি।তাই অবশেষে রমেশ জমিদারির অন্য শরিক রামার কাছে গিয়েছিল । রমেশ ভেবেছিল রমা চাষীদের প্রতি নিশ্চয়স হানুভূতিশীল হবে। কিন্তু রমা নিজের ক্ষতি করে চাষীদের মঙ্গলের কথা ভাবতে পারিনি। রমেশ অনেক,অনুনয়-বিনয় করলেও রমা চাষীদের স্বার্থে রমেশের কথাকে গ্রাহ্য করেনি।
রমার কাছে এই ধরনের স্বার্থপর ব্যবহার রমেশ প্রত্যাশা করেনি। তাই রমার এই আচরণ দেখে রমেশ তাকে ধিক্কার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল- সে কতখানি হীনপ্রবৃত্তির, নিষ্ঠুর।
১.৩ ‘একটা ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তুপ। কাদের সম্পর্কে, কেন একথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ছন্নছাড়া কবিতা থেকে গৃহীত।
কবি পাড়ার মােড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেকার,ভবঘুরে কিছু ছেলে-ছােকরার সম্পর্কে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন।
যুবককে আড্ডা দিতে দেখে কবি অনুভব করেছেন- এরা স্বভাবতঃ উদ্দেশ্যহীন,কর্মহীন হলেও এরা যুবক। তাদের শরীরে ফুটন্ত রক্তের তেজ, কর্মোদ্যম তড়িৎ সম প্রবাহমান। কবি তাদেরকে দেখে বুঝতে পেরেছেন এরা আসলে ভিজে বারুদের স্কুপের। বারুদ প্রচন্ড বিধ্বংসী হলেও তাতে জলের উপস্থিতি যেমন স্ফুলিঙ্গ তৈরি হতে দেয় না, তেমনি কবির মনে হয়েছে ওই যুবকগুলি চূড়ান্ত শক্তির অধিকারী হলেও, তারা সীমাহীন অভাবের কারণে নিভিয়ে আছে।কাজ নেই অর্থ নেই, আশ্রয় নেই,উদ্দেশ্য নেই -এই সীমাহীন অভাবগুলি তাদের শক্তিকে দমিয়ে রেখেছে। তাই কবি ওই যুবক গুলির কর্মশক্তিকে বােঝানাের জন্যই ভিজে বারুদের স্কুপ এই প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করেছেন।
১.৪ ‘আমাদের দৃষ্টি হইতে দূরে গেল বটে, কিন্তু বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই’ -- কোন প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক এই মন্তব্যটি করেছেন? ‘বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই’ '- একথার তাৎপর্য কী?
উত্তর:- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর 'গাছের কথা' প্রবন্ধে গাছের বীজ কীভাবে আপনা থেকেই হাওয়া কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে মাটির সংস্পর্শে পৌঁছায় এবং উদ্ভিদ হয়ে জন্মায়। উক্ত প্রসঙ্গটি বােঝানাের জন্যই আলােচ্য অংশটি বলেছেন।
কথাটির তাৎপর্য :- বীজ থেকে গাছের জন্মের আগেই বীজের কঠিন আবরণের ভিতর বৃক্ষশিশু নিরাপদ আশ্রয়ে ঘুমিয়ে থাকে। গাছের বীজ পেকে উঠলে ঝড়-বৃষ্টি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা তা মাটির নিচে কিংবা মাটিতে আশ্রয় পায়। ক্রমশ ধুলােমাটিতে বীজ ঢাকা পড়ে যায় এবং তা মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। কিন্তু একমাত্র এই বিশ্ব নির্মাতা বিধাতা তাকে ভােলেন না।এই বৃষ্টিকে জীবন প্রদানের জন্য তিনি সর্বদা তার ওপর দৃষ্টি রাখেন। বীজের কথা মানুষ ভুলে গেলেও, বিধাতার নির্দেশে পৃথিবী মায়ের মতাে তাকে রক্ষা করে, লালন-পালন করে এবং একটি শিশু বৃক্ষের জন্ম হয়।
১.৫ রৌদ্রে যেন ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছে কোন কবিতার অংশ? কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেনো?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত পাড়াগাঁর দু-পহর ভালােবাসি' কবিতা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
কবির এমন অনুভূতির কারণ:- কবি জীবনানন্দ দাশ বঙ্গ প্রকৃতির রৌদ্রস্নাত দ্বিপ্রহরের মধ্যে তিনি নির্জনতা অনুভব করেন। দ্বিপ্রহরের নির্জনতা কবির চোখের সামনে এক বিষাদময় অজানা গল্প বা স্বপ্নের জগত নির্মাণ করে। দ্বিপ্রহরের নির্জনতায় কবি নিজে যেমন বিষন্ন হয়ে ওঠেন তেমনই কবি প্রকৃতির মধ্যেও বিষন্নতা খুঁজে পান। দ্বিপ্রহরের শুষ্ক পাতা, শাকিলের স্বর, ভাঙ্গা মাঠ, স্থির জলরাশি, জনহীন ডিঙি প্রভৃতি প্রকৃতির সমস্ত উপাদানের মধ্যে কবি দেখতে পান বিষন্নতার ছাপ। তাই বঙ্গ-প্রকৃতির দ্বিপ্রহরে প্রকৃতির সমস্ত উপাদানের বিষন্নতা, দ্বিপ্রহরের নির্জনতা, কবি হৃদয়েও এক বিষন্ন অনুভূতি তৈরি করে দেয়।
২. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদটি কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর:- বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদ ধাতু এবং বিভক্তির সমন্বয়ে গঠিত হয়।
২.২ আপেক্ষিক ভাবের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:- একটি আপেক্ষিক ভাবের উদাহরণ হল- তিনি ফিরে এলে সমস্ত কিছুর মীমাংসা হবে।
২.৩ নিত্যবৃত্ত অতীত বলতে কী বােঝ?
উত্তর:- অতীতকালের যে বিশেষ রূপ কোন কাজ অতীতকালে নিয়মিত ঘটতাে বা প্রায়ই ঘটতাে বা ঘটার সম্ভাবনা ছিল এইরকম ক্রিয়ার কাল বােঝায় তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত বলে।
যেমন- ছােটবেলায় আমি রােজ হরলিক্স খেতাম।
২.৪ নিত্য অতীত এবং ঘটমান অতীতের পার্থক্য কোথায় ?
উত্তর:- নিত্য অতীতের সাহায্যে সাধারণত যে কাজটি সবেমাত্র বা অল্পক্ষণ পূর্বে সম্পূর্ণ হলাে বা সমাপ্ত হলাে এমন ক্রিয়ার কাল বােঝানাে হয়। যেমন- আমি তােমায় এইমাত্র বললাম।ঘটমান অতীত-এর সাহায্যে সাধারণত অতীতে যে কাজ কিছু সময় ধরে চলছিল বা ঘটছিল বা যে কাজ এখনাে শেষ হয়নি এমন ক্রিয়ার কাল বােঝানাে হয়। যেমন- রহিম রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছিল।
২.৫ রূপ ও অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে ক’টি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর:- রূপ অনুসারে ক্রিয়ার কাল তিন প্রকার-
ক) বর্তমান কাল
খ) অতীতকাল
গ) ভবিষ্যৎ কাল।
অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কাল দুই প্রকার-
ক) নির্দেশক ভাব
খ) অনুজ্ঞা ভাব।
Click here√Model Activity Task class 8 Bengali (Part 7)
Click here√Model Activity Task class 8 English (Part 7)
Click here√Model Activity Task class 8 Environment Science (Part 7)
Click here√Model Activity Task class 8 Health and Physical education (Part 7)
Click here√Model Activity Task class 8 History (Part 7)
Click here√Model Activity Task class 8 Geography (Part 7)