Join Our Telegram
Daily Mock Test
Join Our Facebook

পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে বিসিএস ক্যাডার অন্যজন এমবিবিএস ডাক্তার দুই ভাই

পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে বিসিএস ক্যাডার অন্যজন এমবিবিএস ডাক্তার দুই ভাই


পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে বিসিএস ক্যাডার অন্যজন এমবিবিএস ডাক্তার দুই ভাই


তারা মনে করেন কোন কাজই ছোট নয় বাবা কে সহযোগিতা করার মধ্যে অন্যরকম এক ধরনের আনন্দ খুঁজে পান। তারা আর তাইতো এক ভাই বিসিএস ক্যাডার অন্যজন এমবিবিএস ডাক্তার হলেও পিতার মিষ্টি এবং বাতাসা বিক্রির আদি পেশা কে ভুলে যাননি।

রাজশাহীর বাঘায় পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে ছুটিতে এসে বিসিএস ক্যাডার দুই ভাই দোকানদারি করছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আড়ানী পৌর বাজারের চাল হাটায় পিতার ফুটপাতের এই মিষ্টির দোকানে বসে দুই ভাইকে মিষ্টি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তারা দুই ভাই আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এই কলেজ থেকে তিনি ১৬৪ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার চার মাস মেয়াদে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে দেশ সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এদিকে মৃনাল কুমার পাল (মিঠুন) এমবিবিএস শেষে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। তারা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের স্বর্গীয় হিতেন কুমার পালের নাতী ও বাবু উত্তম কুমার পাল ও বাসনা রানী পালের ছেলে। তাদের বাবা উত্তম কুমার পাল আড়ানী বাজারের ফুটপাতের ক্ষুদ্র মিষ্টি বিক্রেতা। মা গৃহিণী।
বোন মিতা রানী পাল সম্প্রতি সরকারি একটি অফিসের অফিসার পদে যোগদান করেছেন। তারা দুই ভাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পিতার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে দোকানদারি করেন। তারা মনে করেন কোনো কাজই ছোট্ট না।
এ বিষয়ে অমিত কুমার পাল বলেন, আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা ফুটপাতে মিষ্টি বিক্রি করে দুই ভাই ও এক বোনকে মানুষ করেছেন। আমি ৩৫তম বিসিএস শিক্ষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একটি কলেজে যোগদান করেছি। সেখান থেকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় দেশ সেরা হয়েছি। আমরা কোনো কিছুকে খাটো করে দেখি না। সুযোগ পেলেই দুই ভাই বাবার ফুটপাতের দোকানে বসে সহযোগিতা করি।
মৃনাল কুমার পাল (মিঠুন) বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামে এসেছি। কিন্তু কি আর করা বাবার ব্যবসা ছোট হলেও রমজান উপলক্ষে দোকানে ভিড় বেড়েছে। বাবা একা মানুষ কোন দিকে যাবে! তাই বাবার অন্য ব্যস্ততায় দোকান সামলাতে দুই ভাই সহযোগিতা করছি। সুযোগ পেলেই সহযোগিতা করি।
পিতা বাবু উত্তম কুমার পাল বলেন, আমার ছেলে মেয়েদের কখনো ভালো প্রাইভেট, ভালো পোশাক, খাদ্য, ঘুমানোর ভালো জায়গা দিতে পারেনি। আমার ও আমার স্ত্রী বাসনা রানীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আজ ছেলেরা ভালো জায়গায় এসেছে। তিনি বলেন ছেলেরা এত বড়ো পদে কাজ করেও আমার পুরোনো ব্যবসা কে তারা ভোলেনি এই ভেবে তিনি খুব খুশি।


যদি আপনাদের আমার এই ব্লগটি খুবই উপকৃত বলে মনে করেন তাহলে নিশ্চয়ই এই ব্লগটি অনুসরণ করতে ভুলবেন না তাছাড়াও আপনারা এই ব্লগটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন প্রতিনিয়ত আপডেট পাওয়ার জন্য।

YOUR QUERIES
Two brothers of 'BCS' cadre are selling sweet on the pavement
MBBS Doctor
BCS Cadre
BCS cadre another MBBS doctor's two brothers in sweet shop on father's sidewalk

Post a Comment

Previous Post Next Post