Join Our Telegram
Daily Mock Test
Join Our Facebook

Model Activity Task Class 7 Geography Part 7 October 2021| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ ভূগোল ৭ অক্টোবর ২০২১

Model Activity Task Class 7 Geography Part 7 October 2021|মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ ভূগোল ৭ অক্টোবর ২০২১


Model Activity Task Class 7 Geography Part 7 October 2021| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ ভূগোল ৭ অক্টোবর ২০২১

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :

১.১ ভূআলােড়নের ফলে সৃষ্ট ফাটলগুলাের মাঝের ভূভাগ ওপরে উঠে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তা হলাে) 

ক) মহাদেশীয় মালভূমি

খ) স্তূপ পর্বত

গ) আগ্নেয় পর্বত

ঘ) লাভা মালভূমি

উত্তর:- খ) স্তূপ পর্বত

১.২ দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থলভাগ হলাে—

ক) নদী অববাহিকা

খ) দোয়াব

গ) মােহনা

ঘ) ধারণ অববাহিকা

উত্তর:- খ) দোয়াব

১.৩ একটি পাললিক শিলার উদাহরণ হলাে—

ক) গ্রানাইট

খ) ব্যাসল্ট

গ) মার্বেল

ঘ) চুনাপাথর

উত্তর:- ঘ) চুনাপাথর

১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করােক) 

ক)দক্ষিণ আফ্রিকা – উয় জলবায়ু

খ) চিনদেশীয় জলবায়ু – খেজুর গাছ।

গ) জাম্বেজি নদী – ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

ঘ) আফ্রিকার পূর্ব দিক – ভূমধ্যসাগর

উত্তর:- গ) জাম্বেজি নদী – ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :

২.১ ভারতের একটি পলিগঠিত সমভূমির নাম লেখাে।

উত্তর:- ভারতের একটি পলিগঠিত সমভূমির নাম হলাে উত্তর ভারতের সমভূমি।

২.২ নদীর কোন প্রবাহে ভূমির ঢাল বেশি থাকায় নদীর শক্তি বৃদ্ধি পায়?

উত্তর :-নদীর উচ্চ প্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল বেশি থাকায় নদীর শক্তি বৃদ্ধি পায়।

২.৩ কোন শ্রেণির মৃত্তিকায় বালি ও কাদার পরিমাণ প্রায় সমান থাকে?

উত্তর :-দোআঁশ মৃত্তিকায় বালি ও কাদার পরিমাণ প্রায় সমান থাকে। এটি একটি পলিমাটির রূপ।

২.৪ দক্ষিণ আফ্রিকার তৃণভূমি কী নামে পরিচিত?

উত্তর :-দক্ষিণ আফ্রিকার তৃণভূমি ভেল্ড নামে পরিচিত।

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৩.১ নদীর মােহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির দুটি শর্ত উল্লেখ করাে।

উত্তর :-নদীর মােহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির দুটি শর্ত হলো

i. নদীতে পলির পরিমাণ অনেক বেশি হলে এবং ভূমির ঢাল অনেকটাই কমে গেলে বদ্বীপ সৃষ্টি হতে পারে।

ii. নদীর বহন ক্ষমতা কমে গেলে এবং প্রবল সমুদ্রস্রোত না থাকলে নদীর সঙ্গমস্থলে বদ্বীপ গড়ে ওঠে।

৩.২ ‘জলবায়ু মৃত্তিকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক’– বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করাে।

উত্তর :-মৃত্তিকা গঠনে জলবায়ু সর্বাপেক্ষা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। জলবায়ুর প্রধান দুটি উপাদান হলাে বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতা৷

i) বৃষ্টিপাত: বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও তীব্রতা বেশি হলে মৃত্তিকা আম্লিক হয়ে যায় এবং মৃত্তিকা তাড়াতাড়ি সৃষ্টি হয়।

ii) উষ্ণতা: কোন স্থানে উষ্ণতা বেশি হলে মাটির স্তর গুলি বেশ ভালােভাবে তৈরি হয় অর্থাৎ মাটি গভীর হয়। মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি হয়।

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

৪.১ সাহারার জলবায়ু কীভাবে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে?

উত্তর :- সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম এবং উষ্ণতম মরুভূমি। এই মরুভূমি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে।

নিম্নে তা সংক্ষেপে আলােচনা করা হলাে :- 

i. এই স্থানে দিনের বেলা ভীষণ গরম থাকে প্রায় 58 ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাত্রেবেলা বেশ ঠান্ডা প্রায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাত ও দিনের তাপমাত্রা এত পার্থক্য বেশি হওয়ায় এই স্থানের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

ii.এই স্থানে ক্যাকটাস জাতীয় গাছপালা দেখা যায়।এই স্থানে খাদ্যের অসুবিধা থাকায় মানুষেরা সাধারণত যাযাবর হয়। উট নিয়ে এরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়।

iii. পশুর দুধ,মাংস এদের প্রধান খাদ্য এছাড়াও এই স্থানের বিশেষ কিছু গাছের রস এবা পানীয় হিসেবে পান করে।

iv. সময়ের সাথে সাথে সাহারা পাল্টাচ্ছে জায়গায় জায়গায় ঘাস লাগানাে হচ্ছে রাস্তা বানানাে হচ্ছে। উটের বদলে ট্রাকের দ্বারা ব্যবসা করা হচ্ছে সুদূর ভবিষ্যতে বােধহয় সাহারার এই রুক্ষ ভয়াল চেহারা আর থাকবে না। 

৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

৫.১ ভঙ্গিল পর্বত ও আগ্নেয়পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করাে।

উত্তর :-

ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি: ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল- 

i) মহীখাত তত্ব 

ii) পাতভূগাঠনিক তত্ব

i) মহীখাত তত্ব:

অনেক সময় গতিশীল ভূখণ্ডের প্রবল চাপের সঙ্গে সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে ভূআলােড়ন শুরু হয়। এর প্রভাবে কোথাও প্রবল চাপের ফলে সংকোচন এবং কোথাও প্রবল টানের ফলেপ্রসারণের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মহীখাতে সঞ্জিত পাললিক শিলাস্তর সঙ্কুচিত হয় ও ভাঁজ যুক্ত হয়ে উপরে উঠে পড়ে। এইভাবে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।

ii) পাতভূগাঠনিক তত্ব:

ভূবিজ্ঞানী উইলসন , ম্যাকেঞ্জি ,পিচো প্রভৃতির মতে শিলামণ্ডলের নীচের অংশ অনেকগুলি খণ্ড বা পাতে বিভক্ত। ভূ-অভ্যন্তরের উত্তাপ ও পরিচলন স্রোতের জন্য এই পাতগুলি সব সময়ই গতিশীল। ভূবিজ্ঞানীরা মনে করেন, পাতগুলির এই গতিশীলতার ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় পাশাপাশি দুটি পাতের অনুভূমিক চলনের ফলে উভয়ের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তার ফলে উভয়ের সংযােগস্থলে মহীখাত বরাবর সঞ্চিত পলিতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে এবং সংঘর্ষবখা বরাবর ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।

আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি : কোন কারনে ভূ অভ্যন্তরের স্থিতিস্থাপক অবস্থা বিনষ্ট হলে অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোন ফাটল বা ছিদ্রের মাধ্যমে বেরিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠের উপরে লাভা হিসাবে সঞ্চিত হয়। সঞ্চিত লাভা পরে শীতল হয়ে পর্বতের আকার ধারণ করলে তাকে আগ্নেয় পর্বত বা সঞ্চয়ত পর্বত বলে।


Post a Comment

Previous Post Next Post