Model Activity Task Class 7 Environment Science Part 7 October 2021| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ পরিবেশে বিজ্ঞান ৭ অক্টোবর ২০২১
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে :
১.১ তড়িতের সুপরিবাহী পদার্থটি হলাে –
(ক) প্লাস্টিক
(খ) চিনেমাটি
(গ) কাঠ
(ঘ) তামা
উত্তর:- (ঘ) তামা
১.২ সমতল আয়নায় প্রতিফলনের ফলে যে অক্ষরটির পার্শ্বীয় পরিবর্তন হবে না তা হলাে –
(ক) R
(খ) S
(গ) O
(ঘ) C
উত্তর:- (গ) O
১.৩ ফুলের যে অংশটা ফলে পরিণত হয় সেটা হলাে –
(ক) বৃতি
(খ) দলমণ্ডল
(গ) পরাগধানী
(ঘ) ডিম্বাশয়
উত্তর:- (ঘ) ডিম্বাশয়
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ একটি বাল্বের তাপ ও আলােকশক্তির উৎস কী?
উত্তর:- বাল্বের তাপ ও আলােকশক্তির উৎস ধাতব ফিলামেন্ট।
২.২ উদ্ভিদের মূলত্রের কাজ কী?
উত্তর:- মূল মূলের অগ্রভাগের নবম অংশকে বক্ষা করে। মূল যখন মাটি ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে তখন মূলত্র মূলের নবম অগ্রভাগেকে মাটির ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করে।
২.৩ মৃদভেদী ও মৃদবর্তী অঙ্কুরােদগমের মধ্যে একটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:- মৃদভেদী অঙ্কুবােদগমে বীজের বীজপত্র মাটির উপরে উঠে আসে আর মৃদবর্তির অঙ্কুবােদগমের বীজের বীজপত্র মাটির মধ্যেই থাকে।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১ একটি দচুম্বকের ‘উদাসীন অঞ্চল’ বলতে কী বােঝায় তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর:- চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যবর্তী অঞ্চলে কোনােরকম আকর্ষণ বা বিকর্ষণ ক্ষমতা না থাকায় এই অঞ্চলটিকে উদাসীন অঞ্চল বলা হয়।
৩.২ অভিসারী ও অপসারী আলােকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বােঝায় তা ছবি এঁকে বােঝাও।
উত্তর:-
অভিসারী : একগুচ্ছ রশ্মিগুচ্ছ একটি নির্দিষ্ট বিন্দু অভিমুখে একত্রিত হয়ে মিলিত হওয়াকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ বলা হয়। এক্ষেত্রে বিস্তৃত অঞ্চল থেকে রশ্মিগুচ্ছ একত্রিত হয়ে একটি বিন্দুতে মেশে। যেমন- আতসকাচের দ্বারা প্রতিসৃত হওয়া আলােকরশ্মিগ গুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ বলা হয়।
অপসাবী : একটি বিন্দুউৎস থেকে নির্গত আলাের রশ্মিগুচ্ছ পরস্পরের থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে বাইবের অভিমুখে ছড়িয়ে পড়া আলােকরশ্মিকে অপসারী আলােক রশি বলে। যেমন : গাড়ির হেডলাইট থেকে নির্গত আলােকরশ্মি রাস্তার চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
৩.৩ উদ্ভিদের পাতার প্রধান কাজ কী কী?
উত্তর:-
১, খাদ্য প্রস্তুত করা
২, জল ও খাদ্য পরিবহন করা ,
৩.সাতাকে কান্ড বা শাখা সঙ্গে যুক্ত করা
,৪. পতঙ্গের দেহস্থিত নাইট্রোজেনঘটিত উপাদান সংগ্রহ করা।
৫. অতিরিক্ত বাম্পমােচন এ বাধা সৃষ্টি করা।
৩.৪ “ব্যাকটেরিয়াঘটিত নানা রােগের চিকিৎসায় পেনিসিলিন ও সেফালােস্পােরিন অ্যান্টিবায়ােটিক ব্যবহৃত হয়” ব্যাকটেরিয়াঘটিত রােগে এই ধরনের অ্যান্টিবায়ােটিক ব্যবহার করার কারণ বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:- সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ঔষধগুলাের মধ্যে অ্যান্টিবায়ােটিক প্রধান। অ্যান্টিবায়ােটিক মূলত ব্যাকটেরিয়ার উপর কাজ করে এবং ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রােগ নিরাময় করে থাকে, এটি ব্যাকটেরিয়া কে মেরে ফেলে অথবা দুর্বল করে দেয় যাতে ব্যাকটেরিয়া নতুন সংক্রমন সৃষ্টি করতে না পারে। এগুলাে জৈব রাসায়নিক ঔষধ যা অণুজীবদের বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে বা বৃদ্ধিবােধ করে। সাধারানতঃ এক এক অ্যান্টিবায়ােটিক এক এক ধরনের প্রকৃয়ায় অন্যান্য অণুজীবের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪.১ একটি বিস্তৃত আলােক উৎস ও বিস্তৃত অস্বচ্ছ বস্তু নিয়ে পরীক্ষা করলে, কীভাবে পর্দায় প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া গঠিত হবে তা ছবি এঁকে চিহ্নিত করাে।
উত্তর:- বন্ধ নর্দমায় তথা সেপটিক ট্যাংকে বিশেষ প্রকাবের মারাত্মক ধরনের গ্যাসের মিশ্রণ থাকে। এই গ্যাস মিশ্রণে প্রধানত মিথেন (CH 4), হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S), কার্বনডাই অক্সাইড, কার্বন মনােক্সাইড (CO), সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN) থাকে। কার্বন মনােক্সাইড খুবই মারাত্মক গ্যাস এছাড়া হাইড্রোজেন সায়ানাইড প্রাণঘাতী মারাত্মক গ্যাস, কার্বন মনােক্সাইড আমাদের রক্তের হিমােগ্লোবিন এর সাথে মিশে যায় এবং কারবক্সি হিমােগ্লোবিন নামে একটি যৌগ গঠন করে। রক্তে কার্বক্সি হিমােগ্লোবিন যৌগ গঠিত হাল হিমােগ্লোবিন নিজস্ব কাজ অর্থাৎ দেহকোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয় যার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পাবে। এই জন্য বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামার আগে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
৪.২ “বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামার আগে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি” – উপযুক্ত কারণসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাংক এর মধ্যে বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয় যেমন হাইড্রোজেন সালফাইট,মার্স গ্যাস ইত্যাদি এবং এই ধরনের স্থানে বায়ুতে খুব কম পরিমাণে অক্সিজেন থাকে তাই বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাংক আবিষ্কার করার সময় সর্তকতা না নিলে শ্বাসরােধ হয়ে বা বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে পরিষ্কার করতে নামা ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।