Join Our Telegram
Daily Mock Test
Join Our Facebook

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 5 বাংলা পার্ট 5 (Model Activity Task 2021 Class-5 Bengali Part-5 2nd Series)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 5 বাংলা পার্ট 5 (Model Activity Task 2021 Class-5 Bengali Part-5 2nd Series)


মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 5 বাংলা পার্ট 5 (Model Activity Task 2021 Class-5 Bengali Part-5 2nd Series)

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১. ‘মাঠ মানে ছুট’ কবিতায় কবির কাছে মাঠ কীভাবে নানান অর্থে প্রতিভাসিত হয়েছে আলােচনা করাে।

উত্তর:- কবি কার্তিক ঘোষ এর লেখা ‘মাঠ মানে ছুট’ কবিতায় কবির কাছে মাঠ নানান অর্থে প্রতিভাসিত হয়েছে। নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠ, মুক্তির আনন্দ খেলাধুলার প্রকৃত স্থান, শাশ্বত সবুজ আনন্দ স্থল হল মাঠ, মাঠ হল সবুজের সমারোহ যা আমাদের চোখের শান্তি এনে দেয়। মাঠে গেলে আমরা মুক্ত জীবনের স্বাদ খুঁজে পায়। কিশোর ছেলেমেয়েদের কাছে মাঠ একটি অমূল্য সম্পদ। খোলা মাঠে  নির্মল বাতাসে তারা বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাই। মাঠ মানে ছোটদের কাছে একটা অন্যতম আকর্ষণের জায়গা মাঠ মানে খুশি, মজা আর হাসিতে লুটোপুটি।


২. অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা শেষে তারা ভগবানের প্রাসাদে পোঁছল। তারপর কী ঘটল, তা ‘পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে রচনা অনুসরণে লেখাে।

উত্তর:-অবশেষে তারা দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে  পৌঁছে দেখল স্ত্রী ও মন্ত্রীদের নিয়ে সকলে খুব আনন্দিত ও ভোজে ব্যস্ত , ব্যাংক বুঝল কেন তাদের রাজ্যে এত অভাব ব্যাঙ এই দৃশ্য দেখে খুবই উত্তেজিত হয়ে পরল। কারণ তারা পৃথিবীতে খাবার প্রকোপে অত্যন্ত কষ্টের দিন কাটাচ্ছে। ভগবান তাদের জন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা করছেন না, তাকে ভগবানের কাছে গেলে ভগবান রক্ষীদের ডাকল। মৌমাছি মুখে হুল ফটাল, বাঘ ভয় দেখাল, মোরগ ডানা ঝাপটাতে লাগলো ভগবান মন্ত্রীদের ডেকে তাদের তাদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করল এরপর সকলে আনন্দ সহকারে ফিরে গেল।  এরপর থেকে যখনই ব্যাঙ সরবে ডাকে তখনই বৃষ্টি নামে।


৩. 'ঝড়' কবিতা অনুসরণে শিশুটির ঝড় দেখার অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।

উত্তর :- কবি  মৈত্রয়ী দেবী ঝড় কবিতায় শিশুটি 'ঝড়' দেখার অভিজ্ঞতা ঝড় কবিতায় ফুটে উঠেছে। এখানে কালবৈশাখী ঝড়ের কথা বলা হয়েছে। দুপুরবেলা হাটবারে মাঠের ধারে কবি সঙ্গীদের নিয়ে খেলতে গেলে হঠাৎ কোথা থেকে থেকে এলোমেলো হাওয়া এসে সারা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে দিয়ে প্রবল ঝড় উঠলো। সঙ্গীরা সব ভয়ে পালালো কবি একা একা দাড়িয়ে কালবৈশাখীর রূপ প্রত্যক্ষ করলেন। তিনি দেখলেন হঠাৎ বকুলতলা চাপার পর নদীর জল কালো হয়ে প্রকৃতিতে আঁধার নেমেএলো । মাঝি তাড়াতাড়ি ফিরে এলো নৌকা নিয়ে ,কবি ঝড়ের সঙ্গে দয়াতের কালির রঙের তুলনা করে বলেছেন,ঝড়ের অন্ধকার ঠিক যেন দোয়াতের কালি মেঝেতে ঢেলে  দিলে যেমন আকাশ অংশটা সম্পূর্ন কালো হয়ে যায়। সেই রকম ঝড়ো হাওয়া যেন মৃদু হেসে আকাশের ভীষণ তাপ দিয়ে ঘুরে ঘুরে বহু দূরে সাত সাগর পার হয়ে পালিয়ে যায়। এই ঝড় তাপিত পৃথিবীর বুকে বয়ে নিয়ে আসে শান্তির বাণী, প্রথমে দেয় শীতল বাতাস , তারপর ভারী বর্ষণে প্রকৃতি তথা জিবকুলের দহন জ্বালা জুড়িয়ে দেয়।


৪. ‘মধু কাটতে তিনজন লােক চাই।– এই তিনজন লােকের কথা "মধু আনতে বাঘের মুখে’ রচনাংশে কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?

উত্তর:- কবি শিবশঙ্কর মিত্র লেখা ' মধু আনতে বাঘের মুখে 'তিনজন লোক চাই এই তিনজন লোকের কথা রচনাংশে নানা ভাবে উপস্থাপন হয়েছে। তিনজন ব্যক্তি মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বনের মধ্যে বাঘের মুখে পড়েছিল। কারও একার পক্ষে মধু সংগ্রহ করা যায় না। এখনো তাই অর্জন, ধনাই ,  আর কফিন মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বনে গিয়েছিল। সময় টা ছিল বসন্ত কাল, এই তিনজন আনন্দ সহকারে ডিঙি করে বহু দূর যাওয়ার পর একটি মৌচাকের  সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তিনজন তিন রকম কাজ ভাগ করে মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। তিনজনেই নানাভাবে একে অপরকে সাহায্য করেই মধু সংগ্রহের ব্যস্ত সেই সময় একটি বাঘ হুংকার দিয়ে সারা বন কেপে উঠল। ধনাই কে লক্ষ্য করে বা তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলো,আসলে এসে পড়েছিল তবলা গাছের উপর ,ধনাই অবশ্য বেঁচে ছিল ঠিক কিন্তু বাঘের লেজে আঘাতে তার মাথায় যে মধুর কলশিটা ছিল সেটি বাঘের মাথায় এসে ভেঙে পড়ল । বাঘ ভীষণ অস্বস্তিতে নিজের মুখ কুচকাতে লাগলো।


৫. 'মায়াতরু' কবিতার নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করাে।

উত্তর:- কবি অশোক বিজয় সাহা তার কবিতা 'মায়াতরু' এর মাধ্যমে আমাদের সামনে একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের, প্রকৃতির রূপ পরিবর্তনের সাথে সাথে তার ওপর প্রভাব ও অবস্থা পরিবর্তনের কথাটি বিভিন্ন রূপকের সাহায্যে আমাদের সম্মুখে উপস্থাপিত করেছেন। সন্ধ্যেবেলা বাতাসে গাছের ডালপালা কবি ভুতের নাচের সঙ্গে যেমন তুলনা করেছেন। আবার অন্যদিকে তাকে তুলনা করেছেন জ্যোৎস্নায় রাগী ভাল্লুকের সাথে। বৃষ্টিতে ভিজে গাছের চুপসে যাওয়া কে তুলনা করেছে ভাল্লুকের জ্বর এর সাথে। আমার পূর্ণিমা রাতে কবির মনে হয়েছে যেন গাছের মুকুট হয়ে যাক বেঁধেছে লক্ষ হীরের মাছ, অথচ পরদিন সকালে সে সবই হবে অদৃশ্য হয়ে যায়। সন্ধ্যে থেকে সকাল পর্যন্ত একটি গাছের যে ক্রমাগত রূপ পরিবর্তনের যে চিত্র কবি অঙ্কিত করেছে। তাতে এই  'মায়াতরু' নামকরণটি  সার্থক যথাযথ হয়েছে।


৬. “এই তাে সুবুদ্ধি হয়েছে তােমার।' বক্তা কে? কাকে সে একথা বলেছে? কীভাবে তার সুবুদ্ধি হয়েছে?

উত্তর:-উদ্ধৃত অংশটি বক্তা হলেন বনের পরী।
বনের পরী একথা বলেছে ফনিমনসা কে।
ফনিমনসা গাছের তার নিজেরর কাটা পাতার জন্য অত্যন্ত মন খারাপ থাকতো। একদিন বনের পরী কে কাছে পেয়ে, সে অনুরোধ করলো তার পাতাগুলোকে বদলে দিতে। বনের পরীর জানতে চাইল ফণীমনসার কেমন পাতা চাই। তার উত্তরে ফনিমনসা প্রথমে সোনার পাতা চাইল। কিন্তু হঠাৎ একদল ডাকাত এসে সোনার পাতা লুঠ করে নিল। তারপর ফনিমনসা  বনের পরীর কাছে যথাক্রমে কাচের এবং পালংশাকের মতো পাতা চাইল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একটা ঝড় এসে সমস্ত পাতা গুলোকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিলাম। ও একবার ছাগল এসে পালং শাকের পাতাগুলোকে খেয়ে গাছটিকে সম্পূর্ণ ফাঁকা করে দিল। তখন ফণীমনসার নিজের ভুল বুঝতে পারল, ও তার নিজের পুরনো রূপ ফিরিয়ে দিতে বলল। সেই সময় বনের পরী এই উক্তি করেছিল।


৭. ‘তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান’- কেমন দিনে  ছেলেবেলার কোন গানটি মনে পড়ে?

উত্তর:- 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি কালবৈশাখী সূচনালগ্নকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তার বিবরণ এই কবিতার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন কবি দেখেছেন কোন একদিন সন্ধ্যার মুখে আকাশ ঘিরে মেঘের আনাগোনা শুরু হয় । বইতে থাকে বাদলা হাওয়া, তিনি দেখেছেন আকাশ জুড়ে চলতে থাকে মেঘের খেলা। আকাশের  বিভিন্ন দিকে মেঘের নানা খেলা চলে, তাদেরকে বারণ করে না। কখনো তারা ফুলের বনে বৃষ্টি দিয়ে যায়, মেঘেদের এইসব খেলা দেখে কবির কত খেলার কথা মনে পড়ে। এই রকমের দিনের কবির মনে পড়ে তার ছেলে বেলার গান 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'।


৮.“বােকা কুমিরের কথা' গল্পে কুমিরের বোকামির পরিচয় কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তর :- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা,“বােকা কুমিরের কথা'' গল্পে লেখক  শিয়াল আর কুমিরের একত্রে কৃষিকাজের গল্পের মধ্য দিয়ে কুমিরের বোকামির কাহিনী আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। শিয়াল আর কুমির চাষ করবে বলে ঠিক করেন একবার কুমির এ বিষয়ে অবগত ছিল যে শিয়াল খুবই ধূর্ত। তাই প্রথমেই সে ফসলের কোন অংশ নিতে চাই। সেটি জানিয়ে দিয়ে শিয়ালের কাছে ঠকে যাওয়া থেকে বাঁচতে চাই কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে তিনটি চাষের ক্ষেত্রে কুমির ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
যেমন -
১) যেমন আলু চাষের সময় মাটির উপরের অংশটা দাবি করে সে।
২) আবার ধান চাষের সময় মাটির নিচের ফসল টা দাবি করে সে।
৩) আখ চাষের সময় আখের অগ্রভাগ সে দাবি করে ।
প্রতিক্ষেত্রে সে বুঝতে পারে,  সে অতি চালাক হতে গিয়ে নিজের নির্বুদ্ধিতা তেই ঠকে গিয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post